চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন সেগুন বাগানস্থ তা’লিমুল কোরআন মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় ইসমাম হায়দার (৮) নামে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

এটিকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে এলাকার লোকজন মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, শিশুটি কিভাবে মারা গেছে তা আমরা বলতে পারছি না। খবর পেয়ে পুলিশ মাদ্রাসায় যায়। তবে লাশ উদ্ধার করেছি হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল থেকে।

এলাকাবাসী এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, রাতে বিছানায় কাঁথা মোড়ানোবস্থায় ইসমামের মৃত্যু হয়েছে। তাকে নির্যাতন করে কাঁথা মুড়িয়ে রাখা হয় বলে দাবি করে এলাকার লোকজন।

ওসি বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

এদিকে স্থানীরা জানিয়েছেন, শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পরই শত শত এলাকাবাসী মাদ্রাসা ঘেরাও করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়ে যায় সকল শিক্ষক-কর্মচারী।

জানা গেছে, নিহত ইসমামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। দুই বছর আগে কোরআনে হাফেজ হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে এ মাদ্রাসায় ভর্তি করায় অভিভাবকরা। শিশুটি দুই পারা কোরআন মুখস্থ করেছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/এনআই/মার্চ ০৮, ২০১৭)