জয়নুল গ্যালারিতে শুরু যৌথ প্রদর্শনী ‘ষড়ঙ্গ’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল আর্ট গ্যালারি দুই-এ শনিবার শুরু হয়েছে যৌথ চিত্রপ্রদর্শনী। ‘ষড়ঙ্গ’ শিরোনামে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেন চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের এমএফএ দ্বিতীয় এবং প্রথম পর্বের ছয়জন শিক্ষার্থী।
শনিবার সকালে সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক আলভী। আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রাচ্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চিত্রশিল্পী মলয় বালা, ছাপচিত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চিত্রশিল্পী আনিসুজ্জামান আনিস, অঙ্কন এবং চিত্রণ বিভাগের অধ্যাপক ও চিত্রশিল্পী নিসার আহমেদ।
প্রাচ্যকলা বিভাগের এমএফএ দ্বিতীয় পর্বের শিক্ষার্থী মুস্তাকিনা তারিন, মহসীন কবীর, ইস্কান্দার মির্জা এবং প্রথম পর্বের তানজিমা তাবাচ্ছুম এশা, আইরিন সুলতানা লিজা ও নাহিদা আক্তার নিশা যৌথ চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করেন।
মুস্তাকিনা তারিন বলেন, আমার কাজের শিরোনামগুলো হল- ফুল, অক্ষরদানি, সম্পর্ক, বর্ণমালা ও মুদ্রা। আমার শিল্পকর্মে প্রকৃতির ছোঁয়া আনতে চেয়েছি। প্রাচ্যকলায় রঙের প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিছু রিয়েলিস্টিক ও কিছু অ্যাবস্ট্রাক্ট কাজ রয়েছে।
ইস্কান্দার মির্জা বলেন, হর্স অব ওল্ড ঢাকা ১, ২, ফ্লাওয়ার স্টাডি ১, ২, ৩ এবং মেমোরি অব টু ওম্যান কাজগুলো স্থান পেয়েছে। ফুলের কোমলতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পুরান ঢাকার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে রং তুলির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
মহসীন কবীর বলেন, গ্রীন টাচ, এভারগ্রীন, রুট সার্চিং, সজীবতা, ডেস্ট্রয়, ফুলেল আমি এই কাজগুলোই প্রদর্শনীতে দিয়েছি। প্রাচ্যদেশীয় ওয়াশ রীতিতে জলরং মাধ্যমে আঁকা। আমার এই কাজগুলোর মাধ্যমে চেষ্টা করেছি প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার। আশা করি, যারা কাজগুলো দেখবেন, তারা একবারের জন্য হলেও প্রকৃতিতে ফিরে যাবেন।
তানজিমা তাবাচ্ছুম এশা বলেন, আমার কাজগুলো হচ্ছে অর্পণ, সখি, বালিকারা, কম্পোজিশন, বাউল এবং মিনিয়েচার। প্রাচ্যধারায় কাজ করতে পছন্দ করি। আধুনিকতার পাশাপাশি ইতিহাস-ঐহিত্য নিয়ে কাজ করতে চাই। এখানে নারীরূপ যেমন স্থান পেয়েছে, তেমনি মিনিয়েচার আর্টের মধ্য দিয়ে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে সবার সামনে তুলে আনার চেষ্টা করেছি।
নাহিদা আক্তার নিশা বলেন, আমার কাজগুলো হচ্ছে মীরা, রিসাইকেল অব নেচার, নৃত্যরতা, শীতের পিঠা ও নেচার স্টাডি। প্রাচ্যরীতিতে চিত্রাঙ্কন রচনা এবং ওয়াশ টেকনিকে জলরং-এর মাধ্যমে এঁকেছি। ফিগার, নেচার স্টাডিকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি।আইরিন সুলতানা লিজা বলেন, আমার কাজগুলো হচ্ছে প্রতীক্ষা, নেচার ১, প্রতিরূপ, আঁধারের রূপ ও শেষ পরিণাম। বাংলার নারী সৌন্দর্য এবং প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আমি কাজ করতে পছন্দ করি।
এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ছয়জন প্রাচ্য শিল্পীর ৩৩টি শিল্পকর্ম। এ শিল্পকর্মগুলোর একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, সবগুলো শিল্পকর্মের মাধ্যম-ই জলরং এবং ওয়াশ পদ্ধতিতে আঁকা। বাংলাদেশের শিল্পচর্চায় প্রাচ্যরীতিকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন।
(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এপি/সা/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)