চট্টগ্রামে আত্মসমর্পণের পর বিমান কর্মচারি কারাগারে
চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে স্বর্ণ চোরাচালানে সহযোগিতার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আত্মসমর্পণের পর একেএম নূরউদ্দিন নামে বাংলাদেশ বিমানের এক কর্মচারিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর এই আদেশ দিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নূরউদ্দিন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে বিমানের ট্রাফিক হেল্পার।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) একই মামলায় আত্মসমর্পণের পর আনিসুর রহমান নামে এক সহকারী কাস্টমস কমিশনারকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক রহমত উল্লাহ বাদি হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের একটি মামলা দায়ের করেন।
দুই বছর তদন্তের পর চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক এইচএম আক্তারুজ্জামান আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।এতে ৭ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন- কাস্টমসের এআরও আনিসুর রহমান, সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারি মোমেন মকসুদ, আনসারের এপিসি ইলিয়াস, আনসার সদস্য মাহফুজার ও শাহিন, বিমানের ট্রাফিক হেল্পার নুরুদ্দিন এবং লাগেজের মালিক আলাউদ্দিন।
২০১৩ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ২৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মধ্যপ্রাচ্যের দোহা থেকে দুবাই হয়ে আসা এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটের এক যাত্রী লাগেজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছিলেন।
এ সময় বিমানবন্দরে কাস্টমসের এআরও আনিসুর রহমান এবং মোমেন মকসুদ বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মোমেন মকসুদের বিরুদ্ধে ওই লাগেজের মালিককে গ্রেফতার এড়িয়েনিরাপদে বিমানবন্দর পার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।এর ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/মার্চ ০৮, ২০১৭)