দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক বাংলা পড়াতে হবে।’

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ জন ভাষাসৈনিককে সম্মান জানায় গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

এতে ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন, আহমদ রফিক, কাজী এবাদুল হকসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভাষার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে। এ দেশে পড়াশোনা হবে আর বাংলা জানবে না তা হতে পারে না। অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের বাংলা শেখান না, তারা কী আব্দুল হাকিমের কবিতার কথা ভুলে গেছেন?’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাসে প্রথমবারের মত আমরা পূর্ণাঙ্গ শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করছি। ইনশাল্লাহ আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ার কারিগরদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলব আমরা।’

এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কবি আসাদ চৌধুরী ও কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির।

ভাষা সংগ্রামী আবদুল মতিন তার বক্তৃতায় বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের পর অনেক আন্দোলনে সফল হয়েছি। তাই বাঙালির পিছিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। আমরা সরাসরি কায়েদে আজমকে প্রত্যাখ্যান করেছি, ভয় করিনি। নতুনদেরও সেই পথে হাঁটতে হবে।’

আহমদ রফিক বলেন, ‘আইনে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষিত থাকলেও প্রয়োগ নেই। চীনের মত দেশে কঠিন বর্ণমালায় মহাকাশ গবেষণা চললে এ দেশে আদালতে বাংলা ভাষা কেন চলবে না?’

সেলিনা হোসেন বলেন, ‘ভাষাসৈনিকরা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সম্পদ নয়, তারা সমগ্র বাঙালি জাতির সম্পদ তথা গর্ব।’

আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলার গর্বিত সন্তানদের সম্মাননা দিচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। তাদের এমন উদ্যোগের শুভ কামনা জানাই।’

সভাপতির বক্তব্যে ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য গোলাম সামদানী ফকির বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের হাত ধরেই আমাদের মুক্তির সংগ্রাম শুরু। সেখান থেকেই আমাদের স্বাধীনতা ও স্বাধীন দেশ।’

সম্মাননা জানানো একুশ ভাষাসৈনিকদের অন্যরা হলেন- অধ্যাপক ড. শরিফা খাতুন, মনোয়ারা ইসলাম, প্রতিভা মুৎসুদ্দি, রওশন আরা বাচ্চু, রেজাউল করিম, সাবির আহমেদ চৌধুরী, খলিল কাজী, ড. জসীম উদ্দিন আহমেদ, সামসুল হুদা, অধ্যাপক আব্দুল গফুর, অধ্যাপক ড. আহসানুল হক, মির্জা মাজহারুল ইসলাম, আব্দুল করিম পাঠান, ফজলে আলী, খাজা মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ফুলে হুসেন, মুহাম্মদ জিয়াদ আলী এবং তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- গ্রিন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন।

(দ্য রিপোর্ট/বিকে/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)