দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অপসারিত
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : শেষ রক্ষা হলো না পার্ক জিউন-হাইয়ের। দুর্নীতির দায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম এ নারী প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে অপসারিত হতে হচ্ছে। ব্যক্তিগত লাভের লক্ষ্যে এক বন্ধুকে ‘সুবিধা পাইয়ে’ দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে ইমপিচমেন্টের (অভিসংশন) শিকার হয়েছিলেন পার্ক। দেশটির সাংবিধানিক আদালত সে ইমপিচমেন্টের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।
শুক্রবার দেশটির আদালত এ রায় দিয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পুরোপুরি অপসারিত হলেন পার্ক জিউন-হাই। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন কোন প্রেসিডেন্টকে এভাবে ক্ষমতাচ্যুত হতে হচ্ছে বলে বিভিন্ন বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী মে মাসের মধ্যে একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে দক্ষিণ কোরিয়া।
ব্যক্তিগত লাভের লক্ষ্যে এক পুরোনো বন্ধুকে ‘সুবিধা পাইয়ে’ দিতে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করেছেন এমন অভিযোগে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সংসদে ও রাজপথে পার্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। যদিও পার্ক বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।তবে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন তুঙ্গে উঠলে তিনি এক পর্যায়ে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনে। গতবছর ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে ওই প্রস্তাব ২৩৪-৫৬ ভোটে অনুমোদন পায়।
পার্কের অভিশংসনের পক্ষে নিজ দলের পার্লামেন্ট সদস্যরাও ভোট দেন বলে ধারণা করা হয়।
৬৫ বছর বয়সী পার্ক দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসাবে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শপথ নেন।
যে বন্ধুকে ‘সুবিধা পাইয়ে’ দেওয়ার অভিযোগে পার্ককে অভিশংসিত হতে হয়েছে, সেই চই সুন-সিলেরও বিচার চলছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমকে/মার্চ ১০, ২০১৭)