মেহেরপুরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ২ বাল্যবিয়ে বন্ধ
মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল দুই শিশু। মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজনিন সুলতানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত শনিবার দুপুরে এ অভিযান চালান।
বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া একজন হল ছমিরন খাতুন। তার ইচ্ছা কলেজে পড়া। গরিব ঘরে জন্ম তাই বেশি স্বপ্ন দেখে না। কিন্তু কলেজ তো দূরের কথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি না পেরুতেই নানার ইচ্ছায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হয়েছিল ছমিরন। সে মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাঝা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।
খবর পেয়ে ছমিরন ও বলিয়ারপুর গ্রামের মিনহাজের মেয়ে শাহানারা খাতুনের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছমিরন খাতুনের নানা দোয়াত হোসেনের ৫০০ টাকা এবং সাহানারা খাতুনের বাবার কাছে থেকে ৫০০ টাকা এবং বর পক্ষের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনিন সুলতানা দ্য রিপোর্টকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাঝা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ছমিরনের বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তার নানার পরিবার। তবে বর পক্ষ ততক্ষণে না আসায় ছমিরনের নানার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে এবং ৫০০ টাকা জরিমানা আদায়ের পর বিয়ে বন্ধ করা হয়।
এদিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা বলিয়ারপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী শাহানারও বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করে তার পরিবার। এ সময় বর পক্ষ ও কনে পক্ষের অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা, ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায়ের পর বিয়ে বন্ধ করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/একে/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)