চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় চার মাদ্রাসা ছাত্র রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে।

নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন- কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার সিপাই পাড়ার মো. সাজ্জাদ (৯), ঘোটি ভাংগার মো. ইমরান (১০), মগকাটার মো. ফয়সাল (১০) ও এনামুল হক (১৩)।

এর মধ্যে বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দনগর দারুল কোরআন হেফজখানা থেকে চার দিন আগে নিখোঁজ হয়েছে ৩ ছাত্র। এছাড়া সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুর ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল আমিনের ছেলে এনামুল হক গত ১২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে।

বোয়ালখালীর দারুল কোরআন হেফজখানা কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের মাদ্রাসার তিন ছাত্র চার দিন নিখোঁজ রয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দনগর দারুল কোরআন হেফজখানা থেকে নিখোঁজ হয় বলে জানানো হয় প্রশাসনকে।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে হেফজখানার শিক্ষক মো. কাউছার বোয়ালখালী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন।

হেফজখানার আরবী শিক্ষক মো. কাউছার জানান, হেফজখানার তিন শিক্ষার্থীকে না পাওয়ায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা এবং তাদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে রহস্যজনক উল্লেখ করে শিক্ষক মো. কাউছার বলেন, নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা গত দুই বছর ধরে এ হেফজখানায় পড়াশুনা করে আসছিল।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ব্যাপারে হেফজখানার পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে ১২ দিন ধরে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র এনামুল হকের বড় ভাই বৃহস্পতিবার রাতে বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জিডি সূত্রে জানা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার জঙ্গল ছলিমপুর ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল আমিনের পুত্র এনামুল হক মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরিবারের লোকজন মাদ্রাসাসহ সম্ভব্য সব আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও তাকে পায়নি। সে চট্টগ্রামের বায়েজিদ তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

সীতাকুণ্ড থানার এসআই মো. ইকবাল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তার বড় ভাই আব্দুল্লাহ ইসলাম বাদি হয়ে থানায় জিডি করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/মার্চ ১১, ২০১৭)