দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ধারাবাহিকভাবে মুনাফা কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণার পরিমাণ আটকে রয়েছে ১০ শতাংশে। এতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে তৈরী হয়েছে ঝুকির সম্ভাবনা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০০৩ সালে গ্রীণ ফিল্ডে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। এরপর থেকেই লোকসান গুণতে শুরু করে কোম্পানিটি। যা চলে ২০১১ সাল পর্যন্ত। তবে ২০১২ সালের ব্যবসায় কোম্পানিটি ঘুরে দাড়ায়। এ বছর শেয়ারপ্রতি ১.৬০ টাকা মুনাফা করে। যা বেড়ে ২০১৩ সালে ২.১৯ টাকা ও ২০১৪ সালে ২.৪৩ টাকা হয়। কিন্তু এরপরেই থেকেই কোম্পানির মুনাফা কমতে শুরু করেছে।

দেখা গেছে, লাফার্জ সুরমা ২০১৪ সালে মুনাফা করে ২৮১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বা ইপিএস ২.৪৩ টাকা। যা কমে ২০১৫ সালে হয়েছে ২২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বা ইপিএস ১.৯৭ টাকা। আর ২০১৬ সালে আরও কমে হয়েছে ২২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বা ইপিএস ১.৯২ টাকা।

এদিকে ৯ মার্চের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই)অনুযায়ি লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট থেকে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ফেরত পেতে অপেক্ষা করতে হবে ৩৯.৭৫ বছর। যেখানে ৪০ বছরকে বা ৪০পিইকে অতিমাত্রায় ঝুকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়। একইসঙ্গে এমন কোম্পানির শেয়ারে মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ হিসেবে লাফার্জ সুরমা সিমেন্টে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ এখন ঝুকিতে রয়েছে।

এদিকে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৪ সাল থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে আসছে। এরইমধ্যে ২০১৪ সালসহ ২০১৫ ও ২০১৬ সালের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবছরই লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ।

কোম্পানির ২০১৬ সালের ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ জুন বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের জন্য ১৬ এপ্রিল রেকর্ড ডেট নির্ধারন করা হয়েছে।

রবিবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টা ৪১ মিনিটে কোম্পানির শেয়ার দর ১ টাকা কমে দাড়িয়েছে ৭৭.৩০ টাকায়।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/মার্চ ১২, ২০১৭)