ঝিনাইদহের ডিসিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আলটিমেটাম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ রফিকুল ইসলাম ও সদর ইউএনও জুলকার নাইনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ দাবি করেছেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাই এমপি। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন তিনি। শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান জেলা প্রশাসন ১৯ ফেব্রুয়ারির উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আইন ভঙ্গ করেছেন। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছেন। পরাজিত করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে।
নির্বাচনে ঝিনাইদহে জেলা প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে ডিসি, এডিসি ও ইউএনওর অপসারণ দাবিতে শহরের পায়রা চত্বরে বিকেল ৫টার দিকে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আজিজুর রহমান, সদর পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা চেম্বার সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম ফোটন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কনক কান্তি দাসসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল হাই এমপি জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রশাসনের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেনি। যারাও এসেছে তাদের ওপর ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে। তাই তিনি এই অত্যাচারী, বিএনপিপন্থী ও স্বাধীনতাবিরোধী জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম, সদর ইউএনও জুলকার নাইনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে তাদের শাস্তি এবং বিচারের দাবি জানান। সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এএস/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)