সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধ টেকসই ও মেরামত না করার কারণে ২০০১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৭ বার সুনামগঞ্জের কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারেনি বলে দাবি করেছে হাওড় অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্ম (হ্যাপ)।

সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টায় সুনামগঞ্জ শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন হ্যাপের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাওড় অ্যাডভোকেসি  প্লাটফর্মের (হ্যাপ) যুগ্ম-আহ্বায়ক শরীফুজ্জামান শরীফ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, রবিবার সুনামগঞ্জ জেলার হালির হাওড়, পাগনার হাওড়, ধানকুনিয়ার হাওড়, মহালিয়ার হাওড় ও ধারাম হাওড় পরিদর্শন করেছেন এবং স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেছেন। কিন্তু যে বাঁধগুলো হ্যাপ পরিদর্শন করেছে সে বাঁধগুলো ৪০ ভাগের উপর কাজ হয়নি।

সিএনআরএসএ’র পরিচালক ও হ্যাপের অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক এম আনিসুল ইসলাম জানান, রবিবার সকালে হ্যাপ নেতৃবৃন্দ সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাবেরা আক্তারের সঙ্গে হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে কথা হয়েছে।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হ্যাপকে জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও রবিবার পর্যন্ত জেলার ১২টি হাওড়ে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরুই করেনি পাউবো।

সংবাদ সম্মেলনে হ্যাপ নেতৃবৃন্দ আরও জানান, সরকার হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধের জন্য এবার প্রায় ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু সে টাকার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।

এ সময় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও হ্যাপের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাস ও হাওড়বাসী নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক নির্মল ভট্টাচার্য প্রমুখ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/মার্চ ১৩, ২০১৭)