দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইউক্রেন কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা শনিবার দেশটির রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি নিজেদের দখলে নিয়ে নিলে প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ কিয়েভ ছেড়ে পালিয়ে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া সীমান্তে অবস্থিত প্রাদেশিক শহর খারকিভে চলে যান।

এরপর জানা যায়, ইয়ানুকোভিচ সেখানকার গভর্নর ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও ক্রিমিয়া নিয়ে আলাদা একটি সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছেন এবং এ বিষয়ে তিনি রাশিয়ার সহায়তা কামনা করেছেন বলেও জানা গেছে।

এরপর শনিবারই প্রধানত রাশিয়ান ভাষাভাষী দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেন ও ক্রিমিয়ার নেতৃত্ব রাজধানী কিয়েভের জাতীয় সংসদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বসে। খারকিভে এক বৈঠকে স্থানীয় নেতৃত্ব রাজধানী কিয়েভে ‘সাংবিধানিক শৃঙ্খলা’ ফিরে না আসা পর্যন্ত ইউক্রেন রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে, রাজধানী কিয়েভের সংসদে বিরোধীরা ইয়ানুকোভিচ সরকারকে অপসারণ করার প্রক্রিয়ার সূচনা হিসেবে একের পর এক বিল পাস করে চলেছেন। বিক্ষোভের সময় আটক নেতাকর্মীদের মুক্তিদানে তারা ইতোমধ্যেই কয়েকটি বিল পাস করেছে।

কিয়েভের পার্লামেন্ট একজন নতুন স্পিকারও নিয়োগ করেছে। পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রের সব নির্বাহী ক্ষমতা তার হাতেই অর্পণ করা হয়।

এদিকে দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ইয়ানুকোভিচই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গণ্য হবেন। সূত্র : বিবিসি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/জেএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)