বাঘায় গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা
রাজশাহী অফিস : জেলার বাঘা উপজেলার আড়ানী এলাকায় ভটভটি যাত্রী এক নারীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা করেছে ধর্ষক পক্ষের লোকজন। আড়ানী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শনিবার সকালে চালানো এ হামলায় অন্তত তিনজন মারাত্মক আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বাঘার নিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ওবাইদুর রহমান শিমুল, তার ভাই ও রামচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক এবং আরেক ভাই ও বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। আহতদের চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার গোলাম মোর্তুজা বলেন, ‘এ হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আহতরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বাঘার আড়ানী এলাকায় ভটভটি যাত্রী এক নারী গণধর্ষণের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী যে বিক্ষোভ মিছিল করে তাতে ছাত্রলীগ নেতা শিমুলসহ তিন ভাই অংশ নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আড়ানী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিল্লুর রহমান সর্দার, তার ভাতিজা পিপুল সর্দার ও স্থানীয় মুকুল হোসেনসহ ৮-১০ জনের একটি দল আড়ানী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই তিনজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চারঘাট থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় আড়ানী পৌর এলাকায় ধর্ষণের প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আড়ানী পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ভটভটিতে চড়ে এক নারী (২৩) পুঠিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হন। পরে ওই ভটভটির চালকসহ অন্য যাত্রীরা মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই বাঘা উপজেলার জোতরঘু গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে আরিফ আলী (২২), বাউশা গ্রামের আতব আলীর ছেলে মিলন আলী (৩৫), হামিদকুড়া এলাকার চান্দুন আলীর ছেলে শাহিন আলী (২২) ও বাগাতিপাড়া উপজেলার ফুলতলা এলাকার জেহের আলীর ছেলে জরিপ আলীকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচজে/এসকে/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)