শিশু প্রহরের সুবিধা পায়নি সোহরাওয়ার্দীর প্রকাশকরা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ শিশু প্রহর অতিক্রম করল শনিবার। বাংলা একডেমি প্রাঙ্গণের প্রকাশকরা সুবিধা পেলেও শিশু প্রহরের সুবিধা পায়নি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রকাশকরা।
এর আগের দুই শিশু প্রহরের মতোই শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিশুদের মুক্ত বিচরণ ও বই কেনার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রবেশ করে সব বয়সী মানুষ।
শিশু প্রহরে শিশুতোষ প্রকাশনা সংস্থাগুলোতে উপচেপড়া ভিড় এবং প্রচুর বেচাকেনা হলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গালে হাত দিয়ে অলস সময় পার করেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অপেক্ষমান বিক্রেতারা।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল দ্য রিপোর্টকে জানান, ‘জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় সকল স্টলেই কম বেশি শিশুতোষ প্রকাশনা রয়েছে। কিন্তু শিশু কর্নার আলাদা হওয়ায় অনেক পাঠক শিশুতোষ বই কেনার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাচ্ছে না। ফলে প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও কেনাবেচা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শতাধিক প্রকাশক।’
আবিষ্কার প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হাসান জানান, ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলার দিকে তাকিয়েই আমাদের বছরব্যাপী কার্যক্রম। আয়োজকদের অপরিপক্ব সিদ্ধান্তের ফল যে কত ব্যাপকভাবে প্রকাশকদের আহত করে তা মেলার প্রথম দিন থেকেই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।’দেলোয়ার হাসান প্রকাশকদের সৃজনশীল প্রকাশনার গতি অব্যাহত রাখতে এবারের গ্রন্থমেলার সকল অনুষঙ্গকে চিহ্নিত করে আগামী বছরের মেলা পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের সার্বিক বিবেচনায় মেলার পরিধি প্রসারিত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো পরিধি বৃদ্ধি করায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। এ সব অসঙ্গতিকে চিহ্নিত করে আগামী দিনের মেলা পরিচালনা করা হবে।’
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/এএল/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)