দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইনস্টিটিউটের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘কেউ একটা কথা বললেই আমরা ধরে ফেলি। কি হতে পারে সেগুলো দেখে তারপর করতে হবে। কমিটি করেছি, তথ্য নিয়ে এসেছি, শিক্ষকদের একমত, ছাত্রদের একমত। নানা কিছু নিয়েই আলোচনা চলছে। কিন্তু, তারা (গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থীরা) বললেই কি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজকে ইন্সটিটিউট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের) করে দিতে পারব?’

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিত বলেন, ‘গার্হস্থ্য কলেজের দাবি এখন তাদেরকে ইন্সটিটিউট করতে হবে। ইন্সটিটিউট করতে আমাদের এখান থেকে নির্দেশ দিলাম আর হয়ে গেল? ইউনিভার্সিটির একটা ব্যাপার আছে। শিক্ষার বিষয়বস্তু, ভবিষ্যৎ বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য সমপরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। তাদের (গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থীদের) যে দাবি, এটা বললেই কি আমরা করে দিতে পারব?’

ছয় মাস আগে গঠিত কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি করে দিয়েছি, তারা সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে, পরে একসময় বিবেচনা করে দেখব, তারপর জানাব।’

‘খাতা না দেখেই চূড়ান্ত ফল দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের এমন বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এমন কাজ করতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষার বিষয়গুলো অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় এবং এখানে শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট থাকেন। এমনও হতে পারে, আগুনে খাতা পুড়ে গেল, তখন ঐ খাতাগুলোর পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরেও এ বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখব।’

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া

প্রশ্নফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস বড় সমস্যা। ইতোমধ্যে পুলিশ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। সে অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পাঠ্যপুস্তকে ভুলত্রুটির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি এখন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘ভুলের সংশোধনী দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এস/মার্চ ১৬, ২০১৭)