জাপানে আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি ধ্বংস
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : জাপানের রাজধানী টোকিওর কয়েকটি গ্রন্থাগার থেকে আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরির প্রায় ১০০টি কপি পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া ডায়েরিটির আরও অন্তত ২৬৫টি কপি এবং সংশ্লিষ্ট বইগুলো থেকে অনেক পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
তবে এই ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে কারা জড়িত তা জানা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ইহুদি অধিকার গ্রুপ বিষয়টি নিয়ে পুলিশি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
বেশিরভাগ জাপানি মূলত এ ডায়েরি থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি নিধনযজ্ঞের ইতিহাস জানতে পারেন। বইটি জাপানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু এটি ধ্বংসের পেছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তা এখনও রহস্যময় রয়েছে। কারণ জাপানে ইহুদিদের কোনো আবাস নেই এবং ইহুদি বিদ্বেষেরও কোনো ইতিহাস নেই দেশটির।
সিমন উইজেনথাল সেন্টার নামে বিশ্ব ইহুদি মানবাধিকার সংগঠন দাবি করে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৫ লাখ ইহুদি শিশু হত্যার ঐতিহাসিক ঘটনা হেয় করার জন্যই এটি করা হয়েছে।
১৯৫২ সালে বইটি জাপানি ভাষায় প্রথম অনুদিত হয়। ১৯৫৩ সালে এটি জাপানের সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের তালিকায় স্থান পায়। যুক্তরাষ্ট্রের পর জাপানেই বইটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। জাপানে বইটি শুধু ইহুদিদের বেঁচে থাকার সংগ্রামের ইতিহাসের উৎস হিসেবে নয়; বরং তরুণদের বেঁচে থাকার সংগ্রামের কাহিনীর প্রতীকে পরিণত হয়েছিল।
আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি লিখিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। নাৎসিদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আনা ফ্রাঙ্ক এই ডায়েরি লেখেন। ডায়েরিতে আনাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের ‘দুর্ভোগের প্রতীক’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। (সূত্র : বিবিসি)
(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/এমএআর/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)