দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, উন্নত দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আগামী পাঁচ বছরেরও কম সময়ে জনগণের জন্য শতভাগ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ১৬ আবদুল গণি রোডের খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকদের ঝুঁকিভিত্তিক খাদ্য পরিদর্শনবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশার কথা বলেন।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। উত্তরবঙ্গে এখন আর মঙ্গা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা নিতে সক্ষম হয়েছেন। এখন তার নির্দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের বিরাট কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। লক্ষ্য পূরণে ভ্রাম্যমাণ ল্যারেটরি এবং আটটি বিভাগে আ্টটি ল্যাব তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর আদলে এ দেশেও শতভাগ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা হবে। আমেরিকায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পাঁচ বছর লেগেছিল। আমরা তার চেয়েও কম সময়ে দেশে সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য বিরাট কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছি। এই বিরাট কর্মযজ্ঞ সূচারুরুপে সম্পন্ন করতে দেশের ১৮টি মন্ত্রণালয় এবং ৪৮০টি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’।

তিনি আরও বলেন, ২০১০ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন করা হয়েছে। এখন বিধিমালা এবং উপবিধি তৈরি করা হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিজ্ঞান ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য বিভাগের পরিদর্শকদের সঙ্গে স্যানিটারি ইনস্পেক্টরসহ বিভিন্ন সংস্থার পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রথমবারের এই প্রশিক্ষণে প্রায় ১৫০ জন পরিদর্শক অংশ নিচ্ছেন।

প্রশিক্ষণার্থী পরিদর্শকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে আপনার জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বেন। তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়। সচেতন করার জন্য। তবে যেসব বড় বড় খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যেমন প্রাণ, যারা জেগে ঘুমায় এবং অতিমুনাফার লোভে কাজ করে। অনেক মিনারেল ওয়াটারে ফাঙ্গাস পাওয়া যায়। যারা এই অনিরাপদ পানি পান করতে বাধ্য করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা জনগণকে নিরাপদ খাদ্যের ঝুঁকির মধ্যে তাদের কথা মাথায় নিয়েই প্রশিক্ষত পরিদর্শকদের কাজ করতে হবে। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, এফএও এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মি. ডেভিড ডোলান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কায়কোবাদ হোসেন। কর্মশালার ভূমিকা, উদ্দেশ্য, পটভূমি ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন আইএফএস-বি এর ন্যাশনাল টিম লিডার এ কে এম নুরুল আফসার। সভাপতির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মারদ মাহফুজুল হক।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এআরই/মার্চ ২১, ২০১৭)