দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পশ্চিমা গণতন্ত্রকে মানদণ্ড ধরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চার সমালোচনা যুক্তিসঙ্গত নয় বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক।

তিনি বলেন, বৃটেনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে তের শতাব্দিতে যেখানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চালু হয়েছে নব্বই দশকের পরে। তাই বৃটেনে গণতন্ত্র যেমন ফলপ্রসু হবে বাংলাদেশে তেমনটা হবে না। ঠিক তেমনী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিষয় বিবেচনা করে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে একটি বাস্তব-সম্মত মানদণ্ড ঠিক করতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সিরডাপ মিলনায়তনে এক মত বিনিময় পশ্চিমা দেশে শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণে সেসব দেশের সরকারের ভূমিকা উল্লেখ বাংলাদেশের শ্রমিকদের চিত্র তুলে ধরার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ’র(বিলস) আয়োজনে ‘কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত কারণে আহত ও নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে জাতীয় মানদণ্ড’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপস্থিত বক্তারা মন্ত্রীর কাছে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ (মৃত্যু ঘটলে) হিসেবে পনের লাখ টাকা করার প্রস্তাব করলে মন্ত্রী বলেন, অবাস্তব চিন্তা করবেন না। সরকারের সীমাবদ্ধতা আছে। সরকার সব করবে না। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যেখানকার সরকার শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য সব করে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার প্রাইভেট চাকুরীজীবীদের ক্ষতিপূরণ দিবে না। এজন্য ত্রিপক্ষের (শ্রমিক-মালিক-সরকার) সমন্বয়ে একটি নীতিমালা করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আগামী ১ এপ্রিলে সরকারের পক্ষ থেকে, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এক লাখ থেকে দুই লাখ করার ঘোষণা আসতে পারে বলে জানান তিনি।

মতবিনিসময় সভায় উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ও বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং বিলসের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) ইসরাত হোসেন খান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আনিসুল আউয়াল, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের আহ্বায়ক হামিদা হোসেন, বিজিএমএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট(ফাইনান্স) মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এমকে/মার্চ ২১, ২০১৭)