দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সরকারদলীয় পটুয়াখালী-৪ আসনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে রবিবার সকাল ১১টা থেকে তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এ জিজ্ঞাসাবাদ দুপুর পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।

মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি গত পাঁচ বছরে ২০ একর জমি থেকে ২ হাজার ৮৬৫ একর জমির মালিক হয়েছেন। ৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ছাড়া কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ না থাকা স্ত্রীর নামে এখন ১ কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। নিজের ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ১১২ টাকার স্থাবর সম্পদ ৫ বছরের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭২ টাকা।

২০০৮ সালের হলফনামায় সাতটি আয়ের উৎস খাতের মধ্যে তার একমাত্র আয় ছিল খণ্ডকালীন রাখী মালামাল থেকে, যার পরিমাণ ছিল বছরে মাত্র ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। ৫ বছরের ব্যবধানে তিনি এখন মৎস্য উৎপাদন ও বিক্রয়কারী। আর এ খাত থেকে তার বছরে আয় হচ্ছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগে তার ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয়ের উৎস না থাকলেও এখন তার ওপর নির্ভরশীলদের ব্যবসা থেকে বছরে আয় ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া চাকরি থেকে তার বছরে আয় ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৭০০ টাকা।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এমডি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)