দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে শিশু যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যক্ষ্মা শনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এই সংখ্যা বেশি চিহ্নিত হয়েছে। ২০১৫ সালে শিশু যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৯৮৪ জন, ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯২৯১ জনে। শতকরা হিসেবে ২০১৬ সালে শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে ৪.৩ শতাংশ। ২০১৫ সালে এই হার ছিল ৪ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ব্র্যাকসহ আরও কয়েকটি সংগঠন যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে প্রতিরোধ সাফল্য ও অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিষ্যতে করণীয় তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যক্ষা দিবসের এবারের শ্লোগান- ‘ঐক্যবদ্ধ হলে সবে, যক্ষামুক্ত দেশ হবে’।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. রুসেলি হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুসেলি হক বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রনালয় এবং ব্র্যাক একসঙ্গেযক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সফলভাবে পালন করে আসছে। বর্তমান চিকিৎসার মাধ্যমে ৯৪ শতাংশ যক্ষা নিরাময় সম্ভব হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বমানেরযক্ষ্মার চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে।যক্ষ্মার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে জনগনকে সচেতন করতে হবে। তাদের এসব বিষয়ে জানাতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমই পারেযক্ষ্মা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে।

সম্মেলনে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডিআর-টিবির মুখ্য কর্মকর্তা ডা. নাজিস আরেফিন সাকি।

সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. ভিকারুন্নেসা বেগম, ম্যানেজমেন্ট সাইন্সেস ফর হেলথের কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ওস্কার কর্ডন, বাংলাদেশের ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলাপমেন্টের সিনিয়র ইনফেকশাস ডিডিজ এডভাইজার ড. চার্লস লারম্যান, ব্র্যাকের যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কর্মসূচি প্রধান ডা. শায়লা ইসলাম প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এমকে/মার্চ ২৩, ২০১৭)