বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট সরকারি নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের রাবেয়া (১৫) নামে এক শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ভোরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তাকে সরুই কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

বাগেরহাট সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মঞ্জুরুল আলম দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত ১৯ মার্চ সকালে হঠাৎ করে রাবেয়ার পেটে ব্যথা শুরু হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। সরকারি নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে আসার পর কিশোরীর পরিচয় উদ্ধার করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেউই তার সন্ধানে এখানে আসেনি। যার কারণে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে কিশোরীকে সরুই কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এই ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই আবাসন কেন্দ্রে ২ থেকে ৮ বছর ধরে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও অন্তত ৩০ জন শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু ও নারী অবস্থান করছে।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অরুণ কুমার মণ্ডল দ্য রিপোর্টকে জানান, কিশোরীকে ভর্তি করার পর তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় কিডনি রোগ ধরা পরে। সে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার সমস্যা খুলে বলতে পারেনি। যার কারণে সময়মত তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আদালতের নির্দেশে রাবেয়া নামে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এই কিশোরীকে সমাজসেবা অধিদফতর গ্রহণ করে। সেই থেকে কিশোরী বাগেরহাট শহরের দশানি নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে ছিল। গত দুই বছরে তার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি সমাজসেবা অধিদফতর।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এপি/এনআই/মার্চ ২৩, ২০১৭)