‘ভবন ও অগ্নি নিরাপত্তার সকল ম্যাটেরিয়াল শুল্কমুক্ত করা হবে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কারখানা ভবন ও অগ্নি নিরাপত্তার সকল ম্যাটেরিয়ালের আমদানি শুল্কমুক্ত করা হবে, যাতে সকল কারখানা নিরাপদ হয়। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী বাজেটেই এর বাস্তবায়ন করা হবে। কারখানাকে সম্পূর্ণরূপে কমপ্লায়েন্স করার জন্য আর যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলো নিয়ে বিজিএমইএ, বায়ারদের সংগঠন অ্যাকোর্ড, অ্যালায়েন্সের সঙ্গে আলোচনা করে পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে রবিবার সকালে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এক্সপো ফর বিল্ডিং অ্যান্ড ফায়ার সেফটি এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্ন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম, শ্রমিক নেতা রায় রমেশ, বায়ারদের জোট অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক এম রবিন এবং অ্যাকোর্ডের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
শাহারিয়ার আলম বায়রদের কারখানার মানোন্নয়নের জন্য পোশাকের দাম বাড়ানোর আহ্বান জানান। শুধু শেয়ার বিল্ডিংই নয়, পোশাকের মূল্য কর্তন একটা সমস্যা। গত ৪ বছরে তৈরি পোশাক শিল্পে ২৯০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। অথচ বায়াররা পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করেননি। উল্টো অনেক ক্ষেত্রেই মূল্য কমানো হয়েছে। এভাবে পোশাক কারখানার মানোন্নয়ন করা যাবে না।
রায় রমেশ বলেন, তাজরিন ফ্যাশনস ও রানা প্লাজার পর তৈরি পোশাক শিল্পে বেশ বড় চ্যালেঞ্জ এসেছে। এরপর বায়াররা একের পর এক শর্তারোপ করছে। শেয়ার বিল্ডিং কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এতে শ্রমিকদের মাঝে বেকার হওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এটা ঠিক না। কারখানাকে আর কিভাবে মানসম্মত করা যায়, সে বিষয়ে ফান্ডের ব্যবস্থা করার জন্য বায়ারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রমেশ আরও বলেন, বায়াররা বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং করে বেশি মুনাফা করার জন্য। কাজেই বায়ারদের উচিত শ্রমিকদের জন্য একটি ট্রাস্টি ফান্ড গঠন করা, যাতে রানা প্লাজা, তাজরিন ফ্যাশনসের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সহায়তা করা যায়।
(দ্য রিপোর্ট/এআই/এসবি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)