বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে এবার তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম বিমান রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্ট বানাতে দুই কোটি টাকার একটি পুরাতন বিমান কিনেছেন মনজুর ও খোরশেদ নামে দুই যুবক।

বিমান সূত্র জানায়, মনজুর ও খোরশেদের কাছে বিক্রিত এয়ারক্রাফটটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ভয়েজার এয়ারলাইন্সের। এটি অকেজো অবস্থায় তিন বছর ধরে পড়েছিল বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের পাশে।

বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নুরে ই আলম জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় বিমানটি তিন বছর পড়েছিল। ওই বিমানটি বাবদ দৈনিক ৩২৫ টাকা হারে ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে ভয়েজার এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে।

ভয়েজার এয়ারলাইন্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ও চট্টগ্রামের ইনচার্জ মোরশেদুল আলম মেয়াদোত্তীর্ণ বিমানটি দুই যুবকের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিমানটি ছিল সত্তরের দশকের তৈরি। ২০০৫-এ এটি ভয়েজার এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়। ২০০৮ পর্যন্ত বিমানটি অভ্যন্তরীণ রুটে চলেছে। তখন থেকে সেটি পড়েছিল শাহ আমানত বিমানবন্দরে। তবে এটির মূল্যবান যন্ত্রাংশ ইতোমধ্যে খুলে ফেলা হয়েছে। শুধু পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল ওই খোলসটি।

বিমানটির ক্রেতা মনজুর আলম বলেন, ‘আমরা দুই বন্ধু মিলে বিমানটি কিনেছি। বিমান তো নয়। আসলে সেটি বিমানের খোলস। রেস্টুরেন্ট বানাতে এটি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বসানো হয়েছে। গরিব মানুষ তো টাকা দিয়ে বিমানে চড়তে পারে না। তাই খাবারের সঙ্গে বাড়তি বিনোদন জোগাতে আমাদের এ আয়োজন।’

জানা গেছে, ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে ওই বিমানের ভেতর পরিচালিত হবে রেস্টুরেন্ট। এটিকে সাজানো হচ্ছে ভিন্নরূপে। এতে থাকবে ভ্রমণপিপাসু ক্রেতার প্রত্যাশিত সব ধরনের খাবার। বাংলাদেশে এটাই হবে প্রথম বিমানে রেস্টুরেন্ট। সরবরাহ করা করা হবে বিমান পরিবহন মেন্যুর সঙ্গে সঙ্গতি থাকা সুস্বাদু খাবার।

পতেঙ্গা বিচ এলাকার বিমানবন্দরের দিকে যেতে সড়কের বাম পাশে বিশাল খালি জায়গায় বসানো হয়েছে ভয়েজার এয়ারলাইন্সের সেই পরিত্যক্ত বিমানটি।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচসি/এফএস/এসবি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)