লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলায় তালাক দিয়ে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছালেহা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধু গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

সোমবার (২৭ মার্চ) ভোরে উপজেলার ১নং চরআবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জ বাজার এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ছালেহা বেগমের সাথে একই এলকার লোকমান গাজীর সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়। গত কয়েক বছর ধরে উভয়ের মাঝে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার বৈঠকও হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী ছালেহা ঢাকাতে গিয়ে চাকুরি শুরু করেন। পরে ২০১৬ সালে স্বামী লোকমান তার স্ত্রী ছালেহা বেগমকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তালাক দেন এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করেন।

খবর পেয়ে ছালেহা গত ১০-১২ দিন আগে লোকমানের বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙ্গে সেখানে বসবাস করতে শুরু করেন ছালেহা। সোমবার ভোরে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের ডা. ফারিয়া ইয়াসমিন বলেন, হাসপাতালে আনা ছালেহা বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তার এখনও অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয় চর আবাবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহিদ উল্যা বিএসসি বলেন, স্বামীর দেওয়া তালাকনামা স্ত্রী ছালেহা বেগম না মেনে স্বামীর ঘরে এসে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছালেহা বেগম নিজেই তার গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে আবার নিজেই গায়ে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/মার্চ ২৭, ২০১৭)