দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রমনা কালীমন্দির পুনঃনির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম এর ১৯৭১ সালের ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাসন কমিটি। সোমবার রাজধানীর ৯-১০ ময়মনসিংহ রোডের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম প্রাঙ্গণের শহীদদের স্মৃতি ফলকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের সময় সংগঠনটির বক্তারা এ আহ্বান জানান। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বহিনীর হামলায় মন্দির ও আশ্রমে অবস্থানকারী পুরোহিত ও সেবায়েতসহ শতাধিক শহীদের স্মরণে এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের আয়োজন করা হয়।

শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম এর ১৯৭১ সালের ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাসন কমিটি ছাড়াও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বহিনীর হামলায় শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানায়।

এ-সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম এর ১৯৭১ সালের ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাসন কমিটির সভাপতি মিন্টু রায়, সাধারণ সম্পাদক বিপুল রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক উৎপল সাহা এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত সাহা, বাংলাদেশ দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ পরিষদের সহ সভাপতি পিন্টু মিশ্র এবং দুলাল সাহা, শহীদ পরিবারের সদস্য রাজেন্দ্র রায়, কৃষক লীগ নেতা শেখ জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ।

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তারা বলেন, এই সিদ্ধান্তে শ্রীশ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রমের শহীদরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবেন।

বক্তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কণ্যা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির মূর্ত প্রতীক। তিনি মন্দিরটি পুননির্মাণ করে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মনের আশা পূর্ণ করবেন এবং রমনা কালী মন্দিরের শহীদ পরিবারের সদস্যদেরও পুনর্বাসন করবেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এপি/মার্চ ২৭, ২০১৭)