দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীদের চাকরির বাইরে পরামর্শ সেবার আয়ের ৭০ ভাগ পাবে প্রতিষ্ঠানটি। এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৭’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ের সোমবার (২৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে খসড়া আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৮৪ সালের একটি অধ্যাদেশ আছে। সেটাকে বাংলায় অনুবাদ ও কিছু সংযোজন করে নতুন আইনটি করা হয়েছে। নতুন আইনে চারটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এখানে (বিএফআরআই) একটি পরিচালনা পর্ষদ বা বোর্ড রয়েছে। নতুন আইনে বোর্ডের কার্যাবলী ডিফাইন করে দেওয়া হয়েছে।’

শফিউল আলম বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের (বিএলআরআই) যে সব বিজ্ঞানী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মৎস্য শিল্প স্থাপন বা অনুসন্ধান বিষয়ক পরামর্শ দেবে বোর্ড নির্ধারিত হারে তারা ফি নিতে পারবেন। ফি-এর ৩০ ভাগ নিজেরা রাখবেন, ৭০ ভাগ ইনস্টিটিউকে দেবেন।’

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রধানের পদ হবে পরিচালক

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৭’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের প্রধান হলেন মহাপরিচালক। কিন্তু ইউনেস্কোর প্রধানও মহাপরিচালক। এজন্য ওনাদের সঙ্গে চুক্তির শর্তে বলা হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য আমাদের ইনস্টিটিউটের প্রধানের পদটি পরিচালক করতে হবে। এজন্য আমাদের যে যে স্থানে মহাপরিচালক শব্দটি আছে ওখানে পরিচালক শব্দটি নিয়ে আসা হবে।’

তিনি বলেন, ‘তারা (ইউনেস্কো) একটি গভর্নিং বডির প্রস্তাব করেছে। আমাদের আইনে আছে ২২ জনের কমিটি। কিন্তু ইউনেস্কো নির্ধারিত কমিটি ৬ জনের। এজন্য ওই ২২ জনের কমিটি কমিয়ে ৬ জনের কমিটিতে কনভার্ট করা হবে।’

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী বড় পরিসরে আরেকটি কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘যেহেতু গভর্নিং বডিটা ছোট এবং এটা পলিসি মেকিং বডি, তাই দৈনন্দিন বড় কাজগুলো করার জন্য ২২ সদস্যের কমিটির মতো একটি কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এখনও সদস্য নির্ধারণ করা হয়নি।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এপি/মার্চ ২৭, ২০১৭)