বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসন এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুর রশিদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিটিতে জেলা প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একজন করে রাখা হয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার গাফলতিতে, কীভাবে ট্রলারটি ডুবল তা তদন্ত করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ট্রলারডুবিতে এখনো অন্তত ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে তাদের স্বজনরা দাবি করছেন। পুলিশ, দমকল বিভাগ, নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সাথে নিয়ে নদীতে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, ট্রলারডুবির সুনির্দিষ্ট কারণ এখনই বলা যাবে না। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম চার নারীর লাশ উদ্ধারের সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে নিহত চার নারীর প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- বিউটি (৩৮), পেয়ারা (৫০), সুফিয়া (৭৫) ও নাদিরা (৪৪)। তবে তাদের বাড়ি কোথায় তা এখনো জানা যায়নি।

এছাড়া উদ্ধার হওয়া এক নারী ও এক শিশুকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অপর এক নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে অন্তত চার নারী নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত দশ জন। স্থানীয়রা নদী থেকে অন্তত ত্রিশ জনকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছেন।

ট্রলারটি যাত্রী নিয়ে উপজেলার ছোলুমবাড়ি খেয়াঘাট থেকে পুরাতন থানাঘাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/মার্চ ২৮, ২০১৭)