দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা ইলিয়াস কোবরা। ২৭ বছর ধরে চলচ্চিত্র জগতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানালেন তার কথা।

শুরুতেই কি খলনায়ক হয়েছিলেন?

ইলিয়াস কোবরা : হ্যাঁ। ১৯৮৭ সালে মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ভাইয়ের ‘মারুক শাহ’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করি। ওটায় আমার সঙ্গে খলনায়ক হিসেবে ড্যানি সিডাকও ছিল। এরপর একাধারে সাড়ে ৫০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি।

আপনি তো ইতিবাচক চরিত্রেও অভিনয় করেছেন?

পরিচালকারা আমাকে যে চরিত্রে নেবেন, সেটাই করব। বদিউল আলম খোকনের ‘ভালবেসে মরতে পারি’ চলচ্চিত্রে প্রথম ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করি। এখন একই পরিচালকের ‘হিরো-দ্য সুপারস্টার’ চলচ্চিত্রেও ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছি।

আপনি তো শহীদুল ইসলাম খোকনের চলচ্চিত্রে মার্শাল আর্ট করতেন?

হুমম। আমি বার্মা থেকে মার্শাল আর্ট শিখে এসেছিলাম। চলচ্চিত্রে আসার আগে মার্শাল আর্টের স্কুল চালাতাম। শহীদুল ইসলাম খোকনের চলচ্চিত্রে অনেক মার্শাল আর্ট করেছি। এটার বিশেষ দিক হলো, শিখতে হয়। আর চলচ্চিত্রে যে ফাইট ব্যবহার করা হয়, সেটা থিওরিটিক্যাল। পিওরলি মার্শাল আর্ট করতে জানতে হবে। এখানে মুষ্টিমেয় লোক মার্শাল আর্ট পারে।

কোন চলচ্চিত্রটি আবার রিমেক হলে অভিনয় করবেন?

শহীদুল ইসলাম খোকনের চলচ্চিত্র ‘উত্থান-পতন’।

আপনি তো শিল্পী সমিতি থেকে নির্বাচন করছেন?

আগামী ২৮ মার্চ নির্বাচন হবে। আমি আর চিত্রনায়ক রুবেল মিলে একটি প্যানেল করেছি। আমি সেক্রেটারি পদে দাঁড়িয়েছি। সবার কাছে দোয়া চাই। আমি শিল্পীদের গোলামি করতে চাই।

নির্বাচিত হলে কী করবেন?

প্রথম দায়িত্ব সরকারের কাছে শিল্পীদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থার জন্য আবেদন করব। শিল্পী সমিতির হাতেগোনা ২০ জন ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো করছেন, টাকা-পয়সা আয় করছেন। কিন্তু ৬০০ সদস্যের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থা খারাপ। এদের অনেকেই আবার দুস্থ শিল্পী। তাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করব।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এইচএসএম/এজেড/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)