দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে আতিয়া মহল নামক ভবনে জঙ্গি বিরোধী অভিযান ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’সমাপ্ত ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী। টানা ১১১ ঘণ্টার অভিযানটি শেষে ‘আতিয়া মহল’ পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভবনটি পুলিশ তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার কথা জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।

তিনি জানিয়েছেন, ওই ভবনে দুজনের শরীরে সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ভবনটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

‘আতিয়া মহল’ নামক ভবনটি এখনো নিরাপদ নয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভবনে বিস্ফোরক থাকতে পারে। সেখানে আরও তল্লাশি চালানো হবে। অভিযানের কারণে ভবনটি নড়বড়ে হয়ে গেছে।

আতিয়া মহলে পরিচালিত ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’কে জাতীয় দুর্যোগে সামরিক ও বেসামরিক মেলবন্ধনের অপূর্ব উদাহরণ বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে আতিয়া মহল নামক ভবনটি ঘিরে রাখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তীতে শনিবার সকাল থেকে সেখানে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর প্যারো-কমান্ডোরা। ওই তাদের অভিযানে এক নারীসহ ৪ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানের মধ্যেই গত শনিবার রাতে পার্শ্ববর্তী পাঠানপাড়া স্থানে দু’দফা গ্রেনেড হামলায় পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন নিহত হন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন আরো অনেকে। এর মধ্যে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র‌্যাব) গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদও রয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বলা হয়েছে, আতিয়া মহল থেকে চারটি মৃতদেহ বের করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনা সদস্যরা।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত চারজনের মধ্যে একজন মাঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় মুসা যে ছবি দিয়েছিলেন, সেই ছবির সঙ্গে পুলিশের কাছে থাকা ছবির মিল দেখে তারা পরিচয় নিশ্চিত হয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/মার্চ ২৮, ২০১৭)