বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নতুন করে আর কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। দুর্ঘটনার দ্বিতীয় দিন বুধবার সকাল থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। 

মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ট্রলারডুবির ঘটনায় নারী ও শিশুসহ এখনও ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ছোলমবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে প্রায় ৮০ জন যাত্রী নিয়ে মোরেলগঞ্জ পুরাতন থানার ঘাটে যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা মা-মেয়েসহ চার নারীর মৃত্যু হয় এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৮ জন।

এদিকে ট্রলারডুবির ২২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজদের সন্ধান না পেয়ে নদী পাড়ে ভিড় করেছেন স্বজনেরা। উদ্ধারকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি নিজেরাও ট্রলার নিয়ে নদীতে খুঁজে ফিরছেন নিখোঁজ স্বজনদের।

নিখোঁজদের স্বজনরা জানায়, প্রায় ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। এখনও আমরা ট্রলারডুবে নিখোঁজদের সন্ধান পাইনি। আমরা তাদের জীবিত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি। এখন তাদের লাশগুলো পেতে নদী পাড়ে অপেক্ষা করছি।

উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের খুলনা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও বরিশাল ইউনিটের চারটি দল অংশ নিয়েছে। এছাড়া নৌবাহিনীর ২টি ডুবরি দল ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে চালিয়ে যাচ্ছে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসে উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার জানান, সকাল থেকে সবগুলো বাহিনী উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পানগুছি নদীর দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুই পাশের ১০ কিলোমিটার জুড়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। যেহেতু নদীতে জোয়ার-ভাটার তীব্র স্রোতে রয়েছে তাই বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/এনআই/মার্চ ২৯, ২০১৭)