দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ তলায় লাগা আগুন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ওপরেও নয়, নিচেও নয়; যে ১৩ তলায় বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন কার্যক্রম হয় সেই ১৩ তলায় আগুন লেগেছে। কেন ১৩ তলায় আগুন?-এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে। আপনারা (বর্তমান সরকার) বলেছিলেন, চুরি যাওয়া রিজার্ভর অর্থ ফিরিয়ে আনবেন। যারা এ কাজে জড়িত তাদের চিহ্নিত করবেন। কিন্তু রিপোর্ট হয়েছে, তা গোপন রেখেছেন। কারণ আপনাদের অনেকেই সেখানে জড়িত হয়ে যাবে। বাংলাদেশের ব্যাংকের অনেক বড় বড় কর্মকর্তা আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য দায়ি হয়ে যাবে।’

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিদেশিরা বলছে ওই রিপোর্ট যদি প্রকাশ না করা হয় তাহলে এই টাকার ফেরত দেওয়া হবে না। এখন আবার সরকারের পক্ষে থেকে বলা হচ্ছে নতুন করে তদন্ত করা হবে। কিন্তু তার আগেই ব্যাংকের ১৩ তলায় আগুন লাগলো। এখন বলবে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগায় সকল প্রমাণাদি, যত রকমের ডকুমেন্ট আছে সব জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আর কিছু করার নেই।’

মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ তলার আগুন নিয়ে যখন মানুষের দৃষ্টি ছিল তখন তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জঙ্গির দিকে। জঙ্গি একটা শেষ হচ্ছে, আরেকটা শুরু হচ্ছে। আমরা এর কারণ জানতে চাই। আপনাদের গোয়েন্দা আছে, সরকারের এত শক্তি আছে, এত বাহিনী আছে। আপনারা জঙ্গি নির্মূল করে থাকেন, কেন আবার জঙ্গি আপনার খোঁজে পাচ্ছেন?’

‘জনগণ আজকে বলাবলিশুরু করেছে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে সামনে রেখে এগুলো করা হচ্ছে। অনেকেই তা সন্দেহেরে চোখে দেখছেন’ যোগ করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিমদেশ। আমাদের তিন দিকে থেকে ভারত। কোন দিক থেকে প্রতিরক্ষা হুমকি আছে, তা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেননি। তা না হলে যদি প্রতিরক্ষার হুমকি না থাকেতাহলে কেন চুক্তি প্রয়োজন। আমাদের বাঁচার মরার সম্পর্ক পানি। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ন্যায্য পানির হিস্যা আদায় করতে পারছি না। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়, তাই তাদরে দ্বারা এটা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচকালীন সরকারের জন্য একটি রুপ রেখে দিবেন খালেদা জিয়া। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপিরভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এমকে/মার্চ ২৯, ২০১৭)