সাভার প্রতিনিধি : সাভারে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে আব্দুর রহিম (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় পাথালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য শফিউল আলম সোহাগকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল পাঁচটার দিকে সাভারের নয়ারহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত আব্দুর রহিম পাথালিয়া ইউনিয়নের চাকলগ্রাম এলাকার মনু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় নয়ারহাট বাজারে কোমল পানীয়র ব্যবসা করতেন।

নিহতের ছোট ভাই সুমন পন্ডিত জানান, আমার ভাই একজন ব্যবসায়ী। সে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। দুপুরের খাবার খেয়ে হোটেল থেকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য হালিম, হাবলু, শরীফ, আরিফ, সোহাগ মেম্বার ও রহমানসহ বেশ কয়েকজন তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পাথালিয়া ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান বলেন, বুধবার সকালে স্থানীয় টাকসুর এলাকায় অবস্থিত ডেনিম ম্যাপ নামক একটি তৈরী পোশাক কারখানার মালিক পাথালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হালিমকে ফোন করে ঝুট নেওয়ার জন্য যেতে বলেন। খবর পেয়ে হালিম ওই কারখানায় গেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন তার লোকজন নিয়ে হালিমকে অবরুদ্ধ করে মারধর করে। আমি বিষয়টি জানার পর পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এদিকে বিকেলে হালিম ও তার কয়েকজন কর্মী আমার নয়ারহাট বাজারের অফিসে গেলে মোয়াজ্জেম গ্রুপের সন্ত্রাসীরা আবারও তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও কে বা কার গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম মারা গেছেন সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবলীগ নেতা হালিমের লোকজন আমার খালাতো ভাই ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমকে গুলি করে হত্যা করেছে। তবে ঝুট ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীনুল কাদির বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর পাশপাপাশি ঢাকা জেলা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ও সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ফিরোজের নের্তৃত্বে দুটি দল অভিযান শুরু করেছে। খুব শিগগিরি হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/মার্চ ২৯, ২০১৭)