এজেন্সির ন্যূনতম হজযাত্রী ৫০ জন বহাল থাকছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রতি হজ এজেন্সির ন্যূনতম হজযাত্রী ৫০ জন বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রবিবার সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সচিব এ তথ্য জানান। এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের হজচুক্তিতে বলা হয়, কোনো এজেন্সি ১৫০ জনের নিচে হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবেন না। হজ এজন্সিগুলো এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে থাকে। এ প্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় সৌদি সরকারের কাছে ন্যূনতম হজযাত্রী ৫০ জন রাখার আবেদন জানান। সৌদি আরব গত বছরের জন্য তা মেনে নেয়। এবারো হজ চুক্তির আগে এজেন্সিগুলোর সর্বনিম্ন কোটা ৫০ রাখার দাবি জানিয়ে আসছিল।
ধর্ম সচিব বলেন, ১৪ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সৌদি আরব সফরে এবারের হজ নিয়ে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজ করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৯১ হাজার ৭৫৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যা অনুপাতে আমাদের এক লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব যাওয়ার কোটা থাকলেও কাবা শরীফ এলাকার সংস্কারের কারণে সব দেশের কোটা থেকে এবার ২০ শতাংশ কমানো হয়েছে।
‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়া, ফিরে আসা, মক্কা ও মদিনায় যাতায়াত, আবাসন, পরিবহন, সৌদি সরকার অনুমোদিত ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সকল হজযাত্রীদের খাবার সরবরাহ, সৌদি আরবে হজ এজেন্সির ব্যাংক হিসাব চালু এবং এর মাধ্যমে আবাসন ও খাবারের ব্যয় পরিশোধ, অনলাইনের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম সম্পাদন, মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ, ১৩ জিলহজ পর্যন্ত বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ৫০ শতাংশ অবস্থান করার বিষয়টি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে’ বলেও জানান সচিব।
তিনি আরও বলেন, জেদ্দা-মক্কা-মদীনায় যাওয়া আসা নিয়ে জেনারেল কার সিন্ডিকেট ও মদিনা আদিল্লা অফিসের সাথে চুক্তি, সৌদি বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইউনাইটেড অফিসের সাথে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
‘চুক্তি অনুযায়ী এবারও মোট হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে।’
এবার হজযাত্রী প্রতি ব্যাংক গ্যারান্টি সৌদি ৫০ রিয়াল হবে জানিয়ে সচিব বলেন, বিভিন্ন সেবার জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন হলে এখান থেকে অর্থ নেবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সাধারণত অতিরিক্ত অর্থ লাগে না। হজ শেষে গ্যারান্টির অর্থ সৌদি আরব ফেরত দিয়ে দেয়।
আগামী মাসের মাঝামাঝি হজ প্যাকেজ ঘোষাণা করা হবে বলেও জানান কাজী হাবিবুল আউয়াল।
যে কোনো এয়ারলাইন্সে হজযাত্রীরা সৌদি আরব যেতে পারবে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও রায়ের কপি পাইনি। রায়ের কপি পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হজের নামে মানব পাচারে আরও কঠোর হবে সরকার
হজের নামে মানব পাচারের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হবে সরকার। ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজ করতে গিয়ে কেউ সৌদি আরব থেকে গেলে এবার আমরা আরও শক্ত অবস্থানে যাব।
ধর্ম সচিব বলেন, আমাদের কঠোর অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে হজে গিয়ে ফিরে না আসার বিষয়টির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এবার মাত্র ২৬২ জন থেকে গেছে। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা চার হাজার ৭০০ ছিল বলেও জানান তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমডি/এএইচ/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)