চট্টগ্রাম অফিস : ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আলম নুরুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।নিজ গ্রাম রাউজানের নোয়াপাড়ায় শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে পারিবারিক কবরাস্থানে পিতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে বাদ জুম্মা নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে নুরুল আলম নুরুর নামাযে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের প্রধান খতিব।

জানাজায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, এসএম ফজলুল হক, সহ সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির সাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শুভ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, সাবেক সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশা।

নিহত নুরুর মরদেহ রাউজান থানা থেকে শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।

বুধবার মধ্যরাতে নগরীর চকবাজার থানার নগরীর চন্দনপুরা গণি বেকারী এলাকার নিম্মি ভবনের ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকাধারী কয়েক ব্যক্তি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল আলম নুরুকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর প্রায় ১৬ ঘন্টা পর নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার মিটার দূরে বাঘোয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলি নদীর পাড়ে হাত পা বাধাঁ অবস্থায় নুরুর লাশ পাওয়া যায়। তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে নুরুর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/মার্চ ৩১, ২০১৭)