যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক
চট্টগ্রামে ছাত্রদলের ঢিলেঢালা হরতাল চলছে
চট্টগ্রাম অফিস : জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহবানে রবিবার চট্টগ্রামে অর্ধ দিবস হরতাল চলছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নূরুল আলম নূরু (৪৫) হত্যার প্রতিবাদে এ হরতাল আহবান করা হয়।
তবে সকাল থেকে হরতালের কোন প্রভাব নেই, নগরীতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে স্কুল কলেজের ক্লাশ চলছে। অফিসগামী লোকজনের যাতায়াত বাড়ছে।
হরতাল আহবান করে নেতা কর্মীরা মাঠে নেই। তবে পুলিশের কড়া নজর রয়েছে নগর জুড়ে। ভোরের দিকে নগর ছাত্রদলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকে নেতৃত্বে নগরীর কাজীর দেউড়ি, জামালখান, নিউ মার্কেট এলাকায় ৩০/৪০ জনের নেতা কর্মী ঝটিকা মিছিল করেছে পুলিশের চোখ এড়িয়ে। তবে পুলিশ রাস্তায় নামার পর নেতাকর্মী শূণ্য রাজপথ।
নগরী জুড়েই সকাল থেকে ছোট বড় যানবাহন চলছে। শহর এলাকার বাস চলছে। তবে নগরী থেকে অন্যন্য জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে নগর বিএনপি সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করের নেতৃত্বে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। সেখানে মহিলা দলের নেত্রীদের দেখা গেছে। বিএনপি অফিসের বাইরে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। কোন নেতাকর্মীকে বের হতে দিচ্ছে না। এবং রাস্তায় জড়ো হতে দিচ্ছে না।
নগর বিএনপি কার্যালয়ে নাসিমন ভবনে সামনে মিছিল নিয়ে আসার সময় ছাত্রদলের ৬ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজনের পরিচয়া পাওয়া গেছে। তারা হলেন, গাজি মনির, মোহসীন খোকন, ইস্তেহাত মানিক।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে মহানগর মহিলা দলের মিছিলের সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপি নেতা ড. শাহাদাতকে বলেন যে কোন উপায়ে মিছিল করা বা রাস্তায় না উঠার চেষ্টা করা না হয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, হরতালে সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছেনা। আমরা কাউকে হরতালের নামে নাশকতা বা গাড়ি ভাঙচুর করতে দেবো না। নগর জুড়ে বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সর্তক অবস্থানে আছে পুলিশ। এইচএসসি পরিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাতায়াত করতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ (বুধবার) রাতে নগরীর চকবাজার এলাকার নিজ বাসা থেকে পুলিশ পরিচয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামের খেলাঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় নুরুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে বিএনপি ছাত্রদল এ হত্যার প্রতিবাদে সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরী, চট্টগ্র্রাম উত্তর, দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও পার্বত্য জেলা বান্দবানে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
(দ্য রিপোর্ট/এআরই/এপ্রিল ০২, ২০১৭)