দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে ইঞ্জিন চালিত নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো ২ শিশুসহ ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে। রবিবার (২ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ১৮ জন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সন্দ্বীপের সাথে রাতে নৌকা চলাচলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ টিম, ডুবুরি এবং কোস্টগার্ড দল উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। 

এদিকে কুমিরা ফেরী ঘাট থেকে পুরো ঘটনা তদারকি করছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সামশুল আরেফিন।

তিনি বলেন, সর্বশেষ তথ্য মতে ২৬ জন নারী-পুরুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছেন সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান। সাগরের পরিস্থিতি অশান্ত থাকায় আমরা সন্দ্বীপ যেতে পারছি না। তবে কুমিরা ঘাট থেকেই পুরো বিষয়টি তদারকি করছি।

তিনি আরও বলেন, রাতে সাগরে নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর কোন খবর আমরা পিইনি।

উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যার দিকে সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে লালবোট নামে ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে যায়। বোটটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিল তা কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।

তবে কোস্টগার্ড এবং স্থানীয়রা জানান, বোটটিতে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিল। তার মধ্যে ১৮ জনের মত উদ্ধার হয়েছে।

জানা গেছে, কুমিরা ঘাটঘর থেকে জাহাজে করে যাত্রীরা সন্দ্বীপ যাওয়ার পর জাহাজ থেকে লালবোটে করে গুপ্তছড়া ঘাটে যাওয়ার সময় সাগরে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ছোট ইঞ্জিনচালিত এ লাল বোটটি ডুবে যায়।

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন শহিদুল ইসলাম বোটডুবির খবর নিশ্চিত করে বলেন, সীতাকুণ্ডের কুমিরা থেকে রবিবার বিকেলে এমভি সালাম নামে একটি সী ট্রাক প্রায় ৩শ’ যাত্রী নিয়ে সন্দ্বীপ যায়। এটি গুপ্তছড়া ঘাটের অদূরে নোঙ্গর করার পর যাত্রীরা লাল বোটে ওঠার সময় প্রচণ্ড বাতাসের কারণে বোটটি‍ডুবে যায়। এ সময় বোটটিতে ৪০ জনের মত যাত্রী ছিল। ইতোমধ্যে ২২ জনের মত উদ্ধার হয়েছে।ঘটনাস্থলে আমাদের কোস্টগার্ড টিম উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/এপ্রিল ০২, ২০১৭)