চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ইঞ্জিনচালিত বোট ডুবির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৭ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।

রবিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ৪ জনের এবং জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৬ জনকে। নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ জন।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তানভীর মো. জুবায়ের, মাস্টার ওসমান গনি, মাস্টার আনোয়ার হোসেনর, মাস্টার মো. ইউছুফ, হাজী আমিন রসুল, শান্তু, মিজান, কামরুজ্জামান, তাহসিন, নেহা, হাফেজ উল্লাহ, মাঈনুদ্দিন, ইউছুফ, মাসুদ, রাবেয়া আক্তার, সামান্তা ও হাসান।

এদিকে দুর্ঘটনার পর লাশ উদ্ধার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করলেও সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম জাকারিয়া জানান, উদ্ধারকৃত লাশের সংখ্যা ৪ জন। কিন্তু কোস্টগার্ডের দাবি এ পর্যন্ত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে লাশের মধ্যে যে ৪ জনের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন- বড়দা জলদাস (৫০), সালাউদ্দিন (২৭), সতীন্দ্র জলদাস (৫৫) ও হাজী রুহুল আমিন (৫০)।

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম জানান, সাগরে তীব্র বাতাসের বেগ থাকায় ইঞ্জিনচালিত বোটটি ডুবে যায়। বোটটিতে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পরপরই আমাদের কোস্টগার্ড টিম স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি টিম এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।

তিনি আরও জানান, সোমবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি ডুবুরি দলের আট সদস্য স্পিডবোট নিয়ে উপকূলে টহল দিচ্ছে যাতে কোনো লাশ ভাসতে দেখলে উদ্ধার করা যায়। এছাড়া নৌ-বাহিনীর জাহাজ ‘অপরাজেয়’ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধার কাজে ব্যাহত হচ্ছে।

কোস্টগার্ডের অফিসার ক্যাপ্টেন ইমরান জানান, উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে কোস্টগার্ড শিপ (সিজিএস) শেঠ গাং ঘটনাস্থলে গেছে।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম জাকারিয়া জানান, নিখোঁজদের সন্ধানে তাদের আত্মীয়স্বজনরা সাগরপাড়ে ভিড় জমিয়েছে। সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা, উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান-সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এপি/এপ্রিল ০৩, ২০১৭)