দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঋণখেলাপির মামলায় তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ড্যান্ডি ডাইংয়ের দায়ের করা মামলাটি নিষ্পত্তিতে বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ মার্চ দিন ধার্য করেছে আদালত।

বিচারক মোহাম্মদ রবিউজ্জামান রবিবার এ দিন ধার্য করেন।

অর্থঋণ আদালতে এ মামলার দুই পক্ষের মধ্যে রবিবার মধ্যস্ততার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এ সময় মধ্যস্ততার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী আবদুস সালাম ও হেলাল উদ্দিন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ১২ মার্চ মধ্যস্থতার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।

সময়ের আবেদনে উল্লেখ করেন, বিবাদী পক্ষে নিয়োজিত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম বর্তমানে জেল হাজতে আটক আছে বিধায় উভয়পক্ষের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করে মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি, তাই সময় মঞ্জুর আবশ্যক। এ সময় বিবাদীদের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল খালেক মিলন, হেলাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার অপর বিবাদীরা হলেন- শামস এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, সুমাইয়া এস্কান্দার, শাহীনা ইয়াসমিন, বেগম নাসরিন আহমেদ, কাজী গালিব আহমেদ, মিসেস শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান। মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফ্ফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়।

মামলার আর্জি থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। তারপর ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করেন। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীকালে বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনর্তফসিলিকরণ করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বার বার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

মামলার আর্জি থেকে আরও জানা যায়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি। তাই গত বছরের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এসকে/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)