ধারাবাহিক উত্থানে ন্যাশনাল হাউজিং
দ্য রিপোর্ট প্রতিদেক : কয়েক বছর ধরে ব্যবসায় ধারাবাহিক উত্থানে রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে লভ্যাংশ ঘোষণার পরিমাণ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৩ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ইপিএস বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ২০১২ সালের ০.৬০ টাকার ইপিএস বেড়ে ২০১৩ সালে হয় ১.৫৭ টাকা। এরপরে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে হয়েছে যথাক্রমে ১.৯৭ টাকা ও ২.১৭ টাকা। যা সর্বশেষ ২০১৬ সালে আরও বেড়ে হয়েছে ২.২৯ টাকা।
এদিকে ইপিএসের সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণার পরিমাণও ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। কোম্পানির ২০১২ সালের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার বেড়ে ২০১৩ সালে হয়েছে ১২.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। যা ২০১৪ সালে ১৫ শতাংশ ও ২০১৫ সালে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। আর সর্বশেষ ২০১৬ সালের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে ১৮ শতাংশ নগদ।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৬ সালের ২.২৯ টাকার ইপিএসের বিপরীতে ১৮ শতাংশ হারে প্রতিটি শেয়ারে ১.৮ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ হিসাবে মুনাফার ৭৮.৬০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর সবটুকু নগদ লভ্যাংশ ঘোষণায় পে আউট রেশিও হবে একই পরিমাণ ৭৮.৬০ শতাংশ।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ন্যাশনাল হাউজিংয়ের শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫.৩৯ টাকায়।
কোম্পানির ২০১৬ সালের ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য আলোচ্য বিষয় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১১ মে সকাল ১১টায় মহাখালী, রাওয়া কনভেনশন হলে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের জন্য আগামী ২৫ এপ্রিল রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) কোম্পানির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৫১.৩০ টাকায়।
(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এনআই/এপ্রিল ০৫, ২০১৭)