চট্টগ্রাম অফিস : সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল লিমিটেডের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এমডি আবুল খায়েরসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই ৫ কর্মকর্তা ছাড়াও এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ আরো ৫ জনকে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সিএমপির সদরঘাট থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল হক। 

সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা মাথায় নিয়ে তিনি বর্তমানে অপর রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানে যমুনা অয়েল কোম্পানির এমডি হিসেবে বহাল রয়েছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার বিরুদ্ধে দুই দফা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘ঢাকাহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমানে জ্বালানি নেওয়ার জন্য হাইড্রেন্ট লাইন নির্মাণে নিয়ম মোতাবেক কাজ না করেঅভিযুক্তরা পরস্পরের যোগসাজসেপ্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাত করেন।’

প্রকল্পটি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে হওয়া এই উন্নয়ন কাজ থেকে টাকা আত্মসাতের মামলায় ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স অয়েল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের এমডি মো. ফাহিম জামান পাঠান, প্রকল্প পরিচালক পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন এবং এমডি আবুল খায়ের।

এছাড়া অপর মামলার বাদিমো. সিরাজুল হক অভিযোগ করে বলেন,‘খুলনার দৌলতপুরে পদ্মা অয়েলের একটি ভবন নির্মাণে২০১৬ সালে নিয়ম মোতাবেক কাজ না করে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাত করেন আসামিরা।

এ মামলায় ৫ আসামিরা হলেন-পদ্মা অয়েলের এমডি আবুল খায়ের, প্রকল্প পরিচালক মো. নূরুল আমিন, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী কেএম আব্দুর রহিম ও প্রকৌশলী সালেকি আহমেদ আইনুল আব্বাসী এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোহাম্মদ ইউনূস এন্ড কোম্পানির এমডি আনিসুর রহমান।

অভিযোগের ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানে এমডি হয়ে এসে আবুল খায়ের একের পর এক দুর্নীতি করেন।পদ্মা অয়েলের এমডি থাকাকালে অন্যান্য আসামিরাসহ পরস্পরের যোগসাজশে দুটি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মোট ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। যা দুদকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, এর আগে ২০১৩ সালের ১০ জুলাই পদ্মা অয়েলের এমডি থাকাকালে আবুল খায়েরসহ ৯৩ জনের বিরুদ্ধে নগরীর সদরঘাট থানায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরস্পর যোগসাজশ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অবধৈভাবে চাকরি দেওয়ায়অভিযোগেদুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মোরশেদ আলম বাদি হয়ে এসব মামলা করেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এপ্রিল ০৬, ২০১৭)