দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গত সপ্তাহে (২-৬ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স, শরিয়াহ ও ডিএসই ৩০ সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ও বাজার মূলধন বেড়েছে। তবে বেশি সংখ্যক কোম্পানির দর কমেছে। ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ সময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭ পয়েন্ট বা ০.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭৩৬ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই ৩০ সূচক ৪৩ পয়েন্ট বা ২.০৮ শতাংশ ও ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বা ০.৬৯ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট বা ০.১২ শতাংশ কমেছিল।

গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৯৫৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৯৩১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২.৯৪ শতাংশ। তবে মোট হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৮.৬৮ শতাংশ। মূলত আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ১ কার্যদিবস লেনদেন বেশি হওয়ায় মোট ও দৈনিক গড় হিসাবে এ পার্থক্য হয়েছে।

গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে মোট ৪ হাজার ৭৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে হয়েছিল ৩ হাজার ৭২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৫.৬০ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.৪৩ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১.২৪ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৭৩ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৬০ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ০.৬৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টি বা ৪০.৬৬ শতাংশ কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৭৮টি বা ৫৩.৬১ শতাংশ কোম্পানির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি বা ৫.৭২ শতাংশ কোম্পানির।

গত সপ্তাহে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। এ সময় কোম্পানির ২৫৯ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৫.৪০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের লেনদেন হয়েছে ১৯০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.৯৮ শতাংশ। ১৭১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।

লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- আইডিএলসি ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, আরএসআরএম স্টিল, ইসলামি ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/ এম/এপ্রিল ০৮, ২০১৭)