এসডিজি অর্জনে দাতাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এসডিজি বাস্তবায়নে দাতাদের সহযোগিতার দাবি জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) বাস্তবায় ভুলে যাওয়া সংযোগসমূহ বৈশ্বিক সহযোগিতা কোনো দয়া-দাক্ষিণ্য নয়, এটি ধনী দেশসমূহের দায় এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য এটা আমাদের অধিকার।
শনিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে দাতা সংগঠনগুলো।
আয়োজক সংগঠনগুলো হচ্ছে, অনলাইন নলেজ সোসাইটি, অর্পণ, উদ্দীপন বাংলাদেশ, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট, এসডিও, কোস্ট ট্রাস্ট, জাতীয় কৃষাণী শ্রমিক সমিতি, জাতীয় শ্রমিক জোট, ডাক দিয়ে যাই, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা, পিএসআই, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন (জাই), বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতি, বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন, মুক্তির ডাক, লেবার রিসোর্স সেন্টার, সংগ্রাম, সিডিপি, হিউম্যানিটি ওয়াচ, সিনার্জি বাংলাদেশ এব জ্ঞান অধ্যয়ন কেন্দ্র।
বক্তারা বলেন, এর আগে এমডিজি বাস্তবায়নের কথা রাখেনি বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। তারা যে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার চেয়ে কম সহযোগিতা পাওয়া গেছে। ফলে এমডিজির যে পুরোপুরি অর্জন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এসডিজির ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা পাওয়া আমাদেও অধিকার, এটা আদায় করে নিতে হবে।
কোস্ট ট্রাস্ট এর ডেপুটি ডিরেক্টর আমিনুল হক বলেন, সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দেশে ক্ষুধা-দারিদ্র্য বাড়ছে। সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতা বাড়ানো হয়নি, আজ তাদের কারণে তো দেশের এত উন্নতি। সরকারকে দুর্নীতি কমাতে হবে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উপেক্ষিত কৌশল এবং প্রস্তাবিত কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করে এটা পরিষ্কারভাবেই বলা যায় যে, এসডিজির সব লক্ষ্য এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার এবং এসডিজি-বিষয়ক বৈশ্বিক পরিকল্পনা একই সময়ে চলছিল। এসডিজি বৈশ্বিক পরিকল্পনা প্রণয়নে বাংলাদেশ সরকারের নিজেরই অগ্রগতি ভূমিকা পালন করার কারণে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজি-বিষয়ক কর্মকৌশলের প্রতিফলন বৈশ্বিকভাবে আকাঙ্ক্ষিত ছিল এবং তা হয়েছে। বাংলাদেশের সব উন্নয়ন পরিকল্পনাই দরিদ্রতা দূরীকরণ ছিল সরকারের অগ্রাধিকারের লক্ষ্য এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতেও এর কোনো হেরফের দেখা যায়নি। এসডিজির প্রধান লক্ষ্যই সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যেখানে টেকসই উন্নয়নে দারিদ্র্য দূরীকরণই হচ্ছে সরকারের প্রধান অর্জনযোগ্য কৌশল। দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশের অর্জন তথাপি মোট জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ দারিদ্র্যসীমায় বাস করছে। সরকারি হিসাব অনুসারে তা এখন পর্যন্ত ২২ শতাংশ এর বেশি।
দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশ দ্রুত সাফল্য পেলেও উন্নয়ন পরিকল্পনাবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের মতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন শুধুমাত্র দারিদ্র্য দূরীকরণ লক্ষ্যের ওপর নির্ভর করে না। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অবশ্যই দারিদ্র্য দূরীকরণের পাশাপাশি অগ্রাধিকার আর অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলোর প্রতি সরকারকে সমানভাবে নজর দিতে হবে।
(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এম/এনআই/এপ্রিল ৮, ২০১৭)