বিরল সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
দিনাজপুর প্রতিনিধি : সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত, নেপাল. ভূটান এবং মায়ানমারে রেলপথে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের চুক্তি অনুযায়ী দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত দিয়ে ডুয়েল গেজ রেলপথে আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে।
শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে দিল্লীতে বসে রাধিকাপুর স্টেশনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ওই রুট যৌথভাবে উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত দিয়ে ৪২টি তেলের ওয়াগনে ইন্ডিয়ান হাই স্পিড ডিজেল (জ্বালানী) নিয়ে পণ্যবাহী একটি ট্রেন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিমানগর তেল রিফাইনারি ডিপো থেকে এই ট্রেনটি যাত্রা করে। ট্রেনটি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের দিনাজপুরের পার্বতীপুর তেল ডিপো পর্যন্ত যায়। এই পণ্যবাহী ট্রেনে মোট ২ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন জ্বালানী ছিল। পরে ট্রেনটি বিরল রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে যাত্রা বিরতি দেয়। সেখানে মালামালগুলো পরীক্ষা করে ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে জ্বালানী বোঝাই ওয়াগনগুলোকে নিয়ে আসতে বাংলাদেশ থেকে একটি ইঞ্জিন ভারতে প্রবেশ করে। পরে সব ধরণের কার্যক্রম শেষে দুপুরে ট্রেনটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এখন থেকে এই রেলপথে জ্বালানী, পাথরসহ সব ধরণের পণ্য পরিবহনের ফলে সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে দ্রুত এবং পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত ভারত এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মিটার গেজ রেলপথে নেপাল, ভারত এবং মিয়ানমায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে সিমিত সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রেন চলতো বিরল রেলপথ দিয়ে। ২০০৬ সালে ভারত রাধিকাপুর পযর্ন্ত ব্রড গেজ রেলপথ স্থাপন করায় রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছিল ওই রুটে।
এর আগে ৮ মার্চ ভারত থেকে ৪২টি ওয়াগনে ২ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে একটি ট্রেন বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুরের সাথে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন (স্টেশন) ইতোমধ্যে ডুয়েল গেজ রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শেষ করা হয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশ সমূহের সাথে আমদানি ও রপ্তানির কাজ তরান্বিত করতে বাংলাদেশে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ সরকার ২০০২ সালে বিরলসহ ১৩টি শুল্ক স্টেশনকে স্থল বন্দরে রুপান্তর করে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপ্রিল ০৮, ২০১৭)