‘রাজনৈতিক ইস্যু সম্পৃক্ত না হলে শিগগিরই জিএসপি সুবিধা’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ইস্যু সম্পৃক্ত না হলে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবে বাংলাদেশ। মার্চের ৩০ তারিখের মধ্যেই জিএসপির সব শর্ত পূরণ করে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট করা হবে। এ ছাড়া টিকফা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। ওই সময়ে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা নিয়ে আলোচনা হবে।’
৯ম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক পণ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে রবিবার বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, বিপিজিএমইএ সাবেক সভাপতি এএসএম কামাল উদ্দিন আহমদ বক্তব্য দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্যোক্তারা অনেক দক্ষ। সুযোগ পেলেই তারা অনেক ভালো করবেন। বিগত ৬ মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রফতানিতে ভালো করেছে। ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিনগুণ বেশি রফতানি করা হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়। এর মধ্যে মাত্র ৩০ মিলিয়ন জিএসপি সুবিধার আওতায় যায়। কিন্তু বর্তমানে আমরা এমন রফতানি নীতি গ্রহণ করছি যে, ২০১৫ সালে আমাদের রফতানি ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০২১ সালে তা ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’
বিপিজিএমইএ সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা বাতিল করায় প্লাস্টিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে অন্যান্য খাতে নগদ সহায়তা পেলেও প্লাস্টিক খাত বঞ্চিত হচ্ছে। এ খাতে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেওয়া হলে আগামীতে প্লাস্টিক খাত রফতানিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে।
৯ম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলায় ১৬টি দেশ থেকে ৩০০ ওপর স্টল, বুথ ও প্যাভিলিয়ন অংশগ্রহণ করে। এ সবের মধ্যে স্থানীয় ১০০টি এবং ২০০টি বিদেশি স্টল, বুথ ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে।
এদিকে মেলায় বিশেষ অবদান রাখায় পুরস্কার পেয়েছে দেশি-বিদেশি ৬ প্রতিষ্ঠান।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- দেশি বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, আরএফএল প্লাস্টিক লিমিটেড এবং প্লাস্টিক ইন এগ্রো লিমিটেড। বিদেশি তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- ভারতের ভেনাস প্লাস্টিক মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেড, তাইওয়ানের এক্সেজটা মেকানিকা লিমিটেড এবং চীনের নিংবো হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড।
(দ্য রিপোর্ট/এআই/এনডিএস/এনআই/ফেব্রুয়ার ২৩, ২০১৪)