দ্য রিপোর্ট প্রতিদেক : সর্বশেষ ২০১৬ সালে প্রকৃত আয়ের চেয়ে কম দেখিয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারপরেও আগের বছরের তুলনায় প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে। তবে লভ্যাংশ ঘোষণা অপরিবর্তিত রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যানুয়ায়ি, আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পৃথকভাবে ১ম প্রান্তিকে ১০৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ২য় প্রান্তিকে ১০৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ও ৩য় প্রান্তিকে ৯৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছে। এ হিসাবে ৩ প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৩০৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৩ প্রান্তিকের মোট হিসাবে ৩০০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দেখিয়েছে। যাতে ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার আয় কম দেখানো হয়েছে।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের এই গরমিল তথ্যকে ভুল হিসাবে লাল চিহ্নিত করে রেখেছে ডিএসই।

২০১৬ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৮১ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.৮৭ টাকা। এ হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস বেড়েছে ০.৯৪ টাকা বা ৫০.২৭ শতাংশ।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের ২.৮১ টাকা ইপিএসের বিপরীতে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। যা আগের বছরের ১.৮৭ টাকা ইপিএসের বিপরীতেও একই পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছিল। এ হিসাবে ইপিএস বাড়লেও লভ্যাংশ ঘোষণা অপরিবর্তিত রয়েছে।

৫৬৪ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের আইএফআইসি ব্যাংকে ৬৭৩ কোটি টাকা রিজার্ভ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকটি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে আরও ৫৬৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। তারপরেও থেমে নেই বোনাস শেয়ার প্রদান। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ ২০১১ সালের ব্যবসায় ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর আইএফআইসি ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪.৬৯ টাকায়।

কোম্পানির ২০১৬ সালের ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য আলোচ্য বিষয় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৩ জুলাই সকাল ১১টায় রাজধানীর বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের জন্য আগামী ৩ মে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৮ এপ্রিল) কোম্পানির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৮.৯০ টাকায়।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এপ্রিল ০৯, ২০১৭)