উপজেলা নির্বাচনে কেন যাচ্ছেন : খালেদাকে প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন করে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ থাকলে নির্বাচনে যাবেন না। এখন তো উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছেন। তাহলে এতগুলো মানুষ পুড়িয়ে মারলেন কেন? এর জবাব দিতে হবে।’
খালেদার প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের গায়ে আর হাত দিবেন না। মানুষ তা বরদাস্ত করবে না।’
কক্সবাজারে শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করে রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় হরতালের নামে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যাকে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসের দেশের মানুষ হিসেবে পরিচিতি পায়।’
দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্সবাজারে এটাই প্রথম সফর। এ দিন কক্সাজারের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও ক্রিকেট কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে বিশ্ব মর্যাদার আসনে নিতে ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার।’
এ সময় আধুনিক পর্যটন শহর হিসেবে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের একটি ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণ, লবণচাষীদের সমস্যার সমাধান ও পর্যটন বিকাশে এক্সক্লুসিভ জোন তৈরির কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, সাবেক ছাত্রনেতা শাহাজাদা মহিউদ্দিন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেন। বিকেল ৩টা ২৭ মিনিটে সুইচ টিপে শেখ কামাল আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্বোধন করেন। এর পর তিনি সভা মঞ্চে যান। বিকেল ৪টা ১১ মিনিট থেকে ৪টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন।
(দ্য রিপোর্ট/এসএএম/এসকে/সা/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)