যশোর অফিস : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) দুই শীর্ষ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হয়েছেন একই প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বদিউজ্জামান বাদলের হাতে। ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা দায়ী কর্মচারীর শাস্তি দাবিতে আন্দোলনে যেতে সোমবার বৈঠকে বসছেন।

যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়াতুজ্জামান জানান, রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ড বদিউজ্জামান বাদল তার এক আত্মীয়কে যবিপ্রবিতে মাস্টাররোলে চাকরি দেওয়ার সুপারিশ নিয়ে যান ট্রেজারার প্রফেসর মো. জামাল হোসেন ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবিবের কাছে। কর্মকর্তাদ্বয় বিষয়টি তাদের এখতিয়ারবহির্ভূত বলে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাদল। তিনি এ সময় ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে লাঞ্ছিত করেন।

জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়াতুজ্জামান জানান, এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তারা ঘটনার প্রতিবাদে এবং দায়ী কর্মচারীর শাস্তি দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, যশোরের পুলিশ সুপার ও কোতোয়ালি থানার ওসিকে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার ঘটনাটিকে অনভিপ্রেত বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেলে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, যবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার বৈঠকে বসবে।

অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ত থাকায় সিকিউরিটি গার্ড বাদলের বিরুদ্ধে একাধিকবার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়াতুজ্জামান।

(দ্য রিপোর্ট/একে/এইচএসএম/সা/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)