ভারতের কাছে গ্যাস ব্লক ইজারার প্রতিবাদ বাসদের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং সমুদ্রের গ্যাস ক্ষেত্র ভারত ও মার্কিন কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রবিবার বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে দলটি। বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তোপখানা রোডে এসে শেষ হয়।
এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, জাহেদুল হক মিলু, নগর নেতা জুলফিকার আলী।
খালেকুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় সম্পদ আহরণের মাধ্যমে জাতীয় সক্ষমতা সৃষ্টির কার্যকর প্রচেষ্টা না নিয়ে সরকার ভারতের ওএনজিসি ও ওয়েল ইন্ডিয়ার সঙ্গে সমুদ্রের গ্যাস ব্লক ইজারার চুক্তি করছে। এটা দেশবাসীর বহু দিনের গণদাবির প্রতি চরম উপেক্ষা। সরকারের এহেন জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত মহল বিশেষের স্বার্থসিদ্ধি ও সাম্রাজ্যবাদ তোষণ নীতিরই প্রতিফলন।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে পিএসসি-২০১২ এর মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেডের সঙ্গে সাগরের এসএস-৪ ও এসএস-৯ নম্বর গ্যাস ব্লক ইজারা চুক্তি সম্পাদন করেছে। পিএসসি ২০০৮ এ রফতানির বিধান রাখা হয়েছিল। জাতীয় কমিটিসহ বামপন্থী দলসমূহের আন্দোলনের ফলে তা সংশোধন করে পিএসসি ২০১২ করা হয়। যা পিএসসি-২০০৮ এর চেয়েও ক্ষতিকর। বর্তমান চুক্তিতে গ্যাসের ক্রয় মূল্য-২০০৮ এর ২.৯ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬.৫ ডলার, প্রতিবছর গ্যাসের দাম ৫% বৃদ্ধি, কষ্ট রিকভারির সময়কালে কোম্পানির মালিকানা ৫৫% থেকে বাড়িয়ে ৭০% করা এবং ইচ্ছা মত দামে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির শর্ত জুড়ে দিয়ে বাস্তবে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।’
খালেকুজ্জামান বলেন, ‘মহাজোট সরকারের গত মেয়াদে ছয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর এখন আবার বিদ্যুতের দাম ১৫% বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানিগুলো বিদ্যুতের দাম ১৫% বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়ানোর গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সামনে বোরো চাষের মৌসুম, বিদ্যুতের দাম বাড়লে সেচ খরচ বাড়বে, বাড়বে কৃষি উৎপাদন খরচ। এতে সব শিল্প পণ্যের দামও বাড়বে। ফলে জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়বে ।’
(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)