দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী ৪ বছর সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সভাপতি পদে থাকছেন কাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। এ পদে বিকল্প কোনো প্রার্থী নেই। এরই মধ্যে নেপাল, পাকিস্তান, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা তাকে লিখিতভাবে সম্মতিও দিয়েছে। তবে মৌখিক সম্মতি দিয়েছে ভারত।

১৮ ফেব্রুয়ারি সাফের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন মোট ৫টি আবেদন জমা পড়েছে। সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে শুধু কাজী সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন জমা পড়েছে। এ ছাড়া ৩ সহ-সভাপতি পদে জন্য শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ ও পাকিস্তান থেকে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। তাই ৫ মার্চ ঢাকার রূপসী বাংলা হোটেলে অনুষ্ঠিতব্য সাফের কংগ্রেসে এই পদে নির্বাচন হচ্ছে।

২০০৮ সালে এপ্রিলে বাফুফে সভাপতি হওয়ার পর সে বছর সেপ্টেম্বর থেকে ৪ বছরের জন্য সাফের শীর্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাফুফের এ শীর্ষ কর্তা। গত বছর অক্টোবরে সাফের নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত ছিল। তবে এ সময়ের মধ্যে গঠনতন্ত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন-পরিবর্ধন আনা হয়েছে। ৫ মার্চ ভোটাধিকার প্রয়োগের আগে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হবে।

জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার-কোচ কাজী সালাউদ্দিন দ্বিতীয় মেয়াদে সাফ সভাপতি থাকছেন, এটা নিশ্চিত হয় গত বছর সেপ্টেম্বরে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যকে পদে বহাল রাখতে ইতিবাচক মত পোষণ করেছিলেন অধিকাংশ প্রতিনিধি। অগ্রণী ভূমিকা ছিল ভারত ও নেপালের। তা বাস্তবে রূপ দিতে সভাপতি পদে দ্বিতীয় কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। ১২ সদস্যের কমিটিতে বাকি ৮ সদস্য। মনোনীত হবেন ৮ দেশ থেকে। বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলবার্তো কোলাসো নির্বাচিত হলেও নতুন গঠনতন্ত্র মোতাবেক এবার তিনি হবেন বেতনভুক্ত কর্মকর্তা।

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/এএস/সা/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)