দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দলটি প্রত্যাশিত ফল পায়নি। তাই এবার সাংগঠনিক সফরে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে মাঠে নামছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কৌশল বদল করে কাজ করছেন নতুনভাবে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় কার্যক্রম ইতিবাচক ফল দেয়নি। তাই এবার নতুন করে জেলা নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় এমপিদের সঙ্গে আলোচনা করে উপজেলায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়া হবে।

দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগীয় টিমের সমন্বয়কারী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বর্তমানে নীলফামারীতে সাংগঠনিক সফরে রয়েছেন। এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, স্থানীয় নেতারাই স্থানীয় রাজনীতি সম্পর্কে ভালো জানেন। আমরা মূলত জেলা নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় এমপিদের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করছি। কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না।

তার মানে প্রথম দফায় কৌশলে ভুল ছিল? জবাবে তিনি বলেন, দেখুন ভুল নয়। কাজ করছি। কাজের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা আসছে। সেগুলো প্রয়োগ করছি।

জানতে চাইলে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক টিমের সমন্বয়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম দ্য রিপোর্ট বলেন, আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সফর শুরু করব। যেখানে যাওয়ার দরকার সেখানে যাব। যেখানে দরকার নেই সেখানে যাব না। কিছু জায়গায় সমস্যা আছে সেগুলোতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।

প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিভাগে ২৬টি উপজেলায় নির্বাচন হয়। এতে দশটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয় পায়। তুলনামূলক এই বিভাগে খারাপ করেছে আওয়ামী লীগ।

এই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্বিতীয় দফায় ভালো করতে পারব।

তবে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের কার্যক্রমে অসন্তুষ্টি আছে বলে জানা গেছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নাম প্রকাশ না করে জানায়, মূলত দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী ঠিকমতো জেলা সফর করেননি। তার নেতৃত্ব নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। এই বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরু দ্য রিপোর্টকে বলেন, প্রথম পর্যায়ে নেত্রকোনা জেলার দুটি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী সফরে আসেননি। টাঙ্গাইল জেলাতেও কেন্দ্রীয় কোনো টিম সফর করেনি বলে জানান জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান ফারুক।

রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। প্রথম দফায় তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার ১৭টি উপজেলায় নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যন হয় ৫ জন। তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, স্থানীয়ভাবে যেসব সমস্যার কারণে প্রথমবার ফল খারাপ হয়েছে এবার সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দল সময় ও প্রয়োজন অনুযায়ী কৌশল নির্ধারণ করে, সেভাবেই কাজ হয়। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/বিকে/এইচএসএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)