‘সফলতা অর্জন ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. সেলিনা আফরোজ বলেন, খাদ্য নিরাপত্তাসহ দেশকে এগিয়ে নিতে সফলতা অর্জন করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।
রবিবার ‘গুড অ্যাকুয়াকালচার প্রাকটিস (জিএকিউপি) ইন বাংলাদেশ-স্ট্যাটাস অফ ফুড সেফটি’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্মসচিব সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী, মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, ইউএসআইডির ড. রমোনা ইল হামজাওই প্রমুখ।
ড. সেলিনা আফরোজ বলেন, প্রতিদিন-প্রতিনিয়ত সফলতা অর্জনের মাধ্যমেই জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। ছোট এই দেশে জনসংখ্যা অনেক। কিন্তু জনসংখ্যা নিয়ে আমরা হতাশ নই। সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে বিপুল এই জনসংখ্যাকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।
হোটেল রূপসী বাংলার বকুল মিলনায়তনের এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক। কর্মশালার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মাহমুদুল করিম।
চিংড়ি চাষের উন্নয়নে অ্যাকুয়াকালচার ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন এফএও ফুড সেফটি প্রজেক্টের মুখ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. জন রাইডার, এফএও’র কান্ট্রি প্রোজেক্ট ম্যানেজার ম. নুরুল ইসলাম, সফল (সলিডারিডেড বাংলাদেশ) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সেলিম রেজা হাসান, শ্রিম্প সেফটি’র কারিগরি উপদেষ্টা ড. সেটি সিথারাম থোমবাথু প্রমুখ।
ড. সেলিনা বলেন, আমাদের দেশের মানুষ ভালো-মন্দ বোঝেন। মতবিনিময়ের মাধ্যমে তাদের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা খুঁজে বের করা দরকার। এ দেশের মানুষ ক্রিকেটকে ভালোবাসেন। বাংলাদেশ জিতলে তারা যেমন বাহবা দেন, হারলে তেমনি বিপরীত আচরণ করেন। তাই তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের জন্য ভালো কিছু করতে হবে।
যুগ্মসচিব সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, সম্ভাবনাময় এই মৎস্যখাতে বিনিয়োগ করলে দেশের মানুষের আমিষের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে উন্নত চাষ ও পানি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, দেশ মৎস্য রফতানিতে বড় সাফল্য অর্জন করেছে। এই পরিবেশকে টেকসই করতে আমাদেরকে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
খাদ্য পুষ্টি ও রফতানি পণ্যের তালিকায় চিংড়ি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে এবং দেশের প্রাণি আমিষের শতকরা ৬০ ভাগ মাছ থেকে আসে বলে কর্মশালার মূল বক্তব্যে তুলে ধরা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এপি/জেএম/এএল/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪)